৳ ২৫০ ৳ ২১৩
|
১৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER
একাডেমিক বইয়ে প্রতি ১০০০ টাকার অর্ডারে একটি করে খাতা ফ্রি ও ডেলিভারি ফ্রি
আমার আরাে কিছু ক্ষুদ্র উপন্যাস নিয়ে এবার 'সময় প্রকাশন' থেকে উপন্যাসসমগ্রের আরাে একটি খণ্ড বেরুচ্ছে। আমি ভাবতে পারিনি এ কয়েক বছরের লেখা নিয়ে তৃতীয় খণ্ড উপন্যাস বেরুতে পারে। এ খণ্ডের প্রায় সবগুলাে রচনাই ডিকটেশন দিয়ে অর্থাৎ অন্যের সাহায্য নিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছে। চোখের দৃষ্টি এমন এক পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে যে, আমার পক্ষে এমুহূর্তে আর কলম ধরে কোনাে কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমার ভক্ত ও একান্ত প্রিয় কয়েকজন তরুণ লেখক এ কাজে আমাকে সাহায্য করেছেন। আমি বলে গেছি, তারা কাহিনীটি লিখে গেছেন। আমি দাড়ি, কমা, সেমিকোলন ইত্যাদিসহ লেখার খুঁটিনাটি সবকিছু শ্রুতিলেখক তরুণদের একটানা বলে গেছি। তারা শুধু কাহিনীটি কাগজে অনেকটা মােহগ্রস্তের মতাে লিপিবদ্ধ করে গেছেন। আমি তাদের এই মুগ্ধতা যেমন উপভােগ করেছি, তেমনি তারাও বিশ্বস্ততার সাথে আমার কাহিনী বয়নের ক্ষমতাকে সম্মান জানিয়ে আমাকে কোনাে উপদেশ দিতে চান নি। যেমন বলেছি তেমনি লিখেছেন। ভুল-ভ্রান্তির দায়-দায়িত্ব তাদের নয়। সেটা একান্ত আমার।
অনেক কবি-সাহিত্যিকই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে অন্যের সহায়তাগ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছেন। এখন আমিও এ পর্যায়ে উপনীত হয়েছি। যেহেতু পত্রপত্রিকাগুলােতে বিশেষ সংখ্যার জন্য এখনাে আমার লেখার চাহিদা রয়েছে, সে কারণে আমি ক্ষীণদৃষ্টির অজুহাত তুলে লেখা-লেখি বন্ধ করে দেইনি। একজন সৃজনশীল কবির পক্ষে সেটা সম্ভব নয়। চোখ ও কান অকেজো হয়ে গেলে সম্ভবত লেখকের উদ্যমও উদ্ভাবনা আরাে বেড়ে যায়। আমারও বলার বিষয় ফুরােয় নি।
এরমধ্যে আমার এ দেশীয় চোখের চিকিৎসকগণ আমাকে আশ্বাস দিচ্ছেন, আরাে একটি অপারেশনের পর আমার ডান চোখটি বই পড়ার যােগ্য হয়ে উঠতে পারে। অথচ দু’বছর আগে আমি প্যারিসের একজন প্রাইভেট চক্ষুরােগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরেছিলাম। তিনি বলেছিলেন, রেটিনায় ক্ষয় শুরু হয়েছে। এ রােগের আপাতত কোনাে সুফল পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। আমি হতাশ হইনি। যিনি আমাকে দেখার ক্ষমতা দিয়ে দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন, আমি তার উপরই ভরসা করে আসছি।
এক অদ্ভুত ধরণের চক্ষুরােগ। আমি ঠিক অন্ধ নই। কষ্টে-সৃষ্টে প্রবল আলাের নিচে বই বা পত্র-পত্রিকা রেখে এখনাে কিছুক্ষণ পড়তে পারি। তবে স্বল্প সময়ের জন্য। এটাই আমার প্রতি আমার প্রতিপালকের অনুগ্রহ বলে মনে করি ।
আল মাহমুদ
জুলাই ২৪, ২০০৪ ইংরেজি
রােড নং- ২৩/বি, হাউজ- ৬
গুলশান-১, ঢাকা।
Title | : | উপন্যাসসমগ্র - ৩ |
Author | : | আল মাহমুদ |
Publisher | : | সময় প্রকাশন |
ISBN | : | 9844584868 |
Edition | : | 2005 |
Number of Pages | : | 336 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
আল মাহমুদ বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন আল মাহমুদের কবিতার বই পড়েননি এমন সাহিত্যপ্রেমী খুঁজে পাওয়া ভার। গুণী এই কবি একাধারে একজন সাংবাদিক, শিশুসাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তবে সবকিছু ছাপিয়ে গেছে তার কবি পরিচয়। আধুনিক বাংলা কবিতা নানা দিক থেকে তার কাছে ঋণী থাকবে। বাচনভঙ্গি আর রচনাশৈলীতে তার কবিতা সমকালীন যেকোনো কবির তুলনায় অনন্য। ‘কবিতাসমগ্র’ (দুই খন্ড) ‘উড়ালকাব্য’, ‘সোনালি কাবিন’, ‘আল মাহমুদের স্বাধীনতার কবিতা’, ‘প্রেমের কবিতা সমগ্র’, ‘আল মাহমুদের শ্রেষ্ঠ কবিতা’ ইত্যাদি কবিতার বই নিয়ে আল মাহমুদ কবিতাসমগ্র। এছাড়াও আল মাহমুদ উপন্যাস সমগ্র প্রকাশিত হয়েছে তিন খণ্ডে। জাতীয় রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক টানাপোড়েন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি ও প্রেক্ষাপটসহ সমাজ ও ব্যক্তি জীবনের দ্বন্দ্ব স্থান পেয়েছে আল মাহমুদ এর বই সমূহ-তে। ‘কালের কলম’, ‘লোক লোকান্তর’, ‘মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো’, ‘বখতিয়ারের ঘোড়া’, ‘আরব্য রজনীর রাজহাঁস’, ‘গল্প সমগ্র’, ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য লেখা। আল মাহমুদের জন্ম ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মোড়াইল গ্রামে। তার পুরো নাম মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ। শিক্ষাজীবনেই তিনি লেখালেখির সাথে সম্পৃক্ত হন। রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল আর মধ্যযুগের বৈষ্ণব পদাবলী পাঠ করতে করতে নিজের কবি প্রতিভা আবিষ্কার করেন তিনি। ১৯৫৪ সালে সাপ্তাহিক কাফেলা পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। কিছুকাল পরই এ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। পুরো ৬০-এর দশক জুড়ে তিনি অসংখ্য কবিতা রচনা করেন এবং কবি হিসেবে প্রতিষ্ঠা ও খ্যাতি লাভ করেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের হয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে দৈনিক গণকণ্ঠ পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এ পত্রিকায় সরকার বিরোধী লেখালেখির কারণে এক বছরের জন্য কারাদণ্ডও ভোগ করতে হয় তাকে। ১৯৭৫-৯৩ সাল পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির পরিচালক হিসেবে কাজ করে কর্মজীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। কবি আল মাহমুদ তার অনবদ্য রচনাশৈলীর জন্য ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার’, ‘একুশে পদক’, ‘জীবনানন্দ স্মৃতি পুরস্কার’, ‘নাসির উদ্দিন স্বর্ণপদক’ সহ অসংখ্য পদক ও সম্মাননা লাভ করেছেন। ২০১৯ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তিনি পরলোকগমন করেন।
If you found any incorrect information please report us